ওরা পাপাঙ্গুল নয়। সম্ভবত পড়েনি।
ছাঁকনি নয়, এরোপ্লেন আর
কাদের যেন কাঁধে চেপে ওরা গিয়েছিল। আমরা কেউ যেতে বলিনি। তবু গিয়েছিল। দেখো কেমন
তাক লাগিয়ে দেব, ওরা বলেছিল। ভিড়ের মধ্যে থেকে কে যেন বলেছিল, ও কাজটা আবার নতুন
কিছু নাকি? তোমরা যাও, বরং অন্য কিছু কর। ওরা শোনেনি। পাহাড়ে চড়া সত্যিই কি জান
তোমরা? কারো হাত না ধরে পাঁচিলের ওপর উল্টো হাঁটতে পারো? কোন পাঁচিলে হামাগুড়ি
দিতে হয়, আর কোন পাঁচিলে কান পেতে শুনতে হয়; তোমরা জান কি? ওরা কান দেয়নি। লোকটাকে
বলেছিল, হিংসুটে পাগল। তারপর, লোকাল ট্রেনে মাউন্টেনিয়ারের পোশাকে অনেক কসরত করার
পর ওরা গিয়েছিল।
আজ তাদের কেউ ফিরেছে। কেউ
ফেরেনি। আজ ওরা বলছে। এক মিনিটের শোক প্রস্তাব এবং এক ঘণ্টার সংবর্ধনার ফাঁকে, ওরা
বলছে। কাগজে, টিভিতে, রেডিওতে, ফেসবুকে ওরা বলছে। কী হিরোয়িক, কত দুঃসাহসিক! ওরা
বলছে। কেউ উঠেছে, কেউ ওঠেনি। ওরা বলছে। কেউ পেরেছে, কেউ পারেনি। ওরা বলছে।
সমুদ্র-টমুদ্র কিছু নেই। ওসব বাজে কথা। ওরা বলছে।
আমি সার্কাস দেখছিলাম।
দেখলাম ভিড়ের মধ্যে সেই লোকটা যাকে সবাই একদিন হিংসুটে পাগল বলেছিল, সেও রয়েছে। আমাকে দেখতে পেয়েই উত্তেজিত
স্বরে লোকটা বলল, ওরা পাপাঙ্গুল নয়। সম্ভবত পড়েওনি। কিংবা, পড়লেও মানে বোঝেনি। সেটাই
যা রক্ষে! আপনি পড়েছেন তো?
লোকটার কথার উত্তর না
দিয়ে আমি বললাম, জবরদস্ত সার্কাস চলছে। শুরু থেকে শেষ, বিভিন্ন জোকারের বিচিত্র
কাণ্ডকারখানা। আপনি হাততালি দিন।
photo courtesy: goodreads.com
Comments