বাঁটুল দি গ্রেট
সকাল বেলা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই মনে হল বৃষ্টি যেন
বর্শার ফলা হয়ে নাকের ডগায় ঝুলে রয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঝরে পড়বে। যেন বলছে, এই বেলা ছাতাটা সারিয়ে নাও, আর কবে থেকে বলছি ছেলেকে নতুন রেন কোট কিনে দাও। বিশ্ব কুঁড়ে, নিদেন পক্ষে অনলাইনে অর্ডার কর। এরপর, ভিজে কূল
পাবে না। হাবুডুবু খাইয়ে ছাড়ব।
মেঘের সঙ্গে কথা বলছি এমন সময় চোখ পড়ল এক তরুণ ভদ্রলোকের
দিকে। গঙ্গার ধার থেকে গটমট করে হেঁটে এগিয়ে
আসছেন আমাদেরই বারান্দার দিকে। চোখ সরাতে
পারলাম না। কদম ছাঁট চুল, পেল্লায় ছাতি, পেশীবহুল
হাত, সরু কোমর আর লিকলিকে ঠ্যাঙ। অবিকল বাঁটুল দি গ্রেট। মুগ্ধ হয়ে ভাবছি নারায়ণ দেবনাথ এনাকে দেখলে নিশ্চয়ই বুকে জড়িয়ে ধরতেন। যেই এমন ভাবা অমনি সেই ভদ্রলোক রাস্তার ধারেই নির্বিকার মুখে
হিসু করতে উদ্যত হলেন।
আমার চোখের সামনে চলমান বাঁটুল তাঁর গ্রেটনেস হারালেন।
অবশ্য যে দেশে তিনবার হোঁচট খেয়ে পাশ করা লোক প্রধানমন্ত্রী হন। সেখানে এটা আর অবাক হবার মত কি ব্যাপার? ছাপ্পান্ন
ইঞ্চি ছাতির ব্যাপারটা তো তাঁরও আছে। তাই নয় কি?
Comments