Posts

Showing posts from May, 2016

আপনি গাড্ডি সমঝো Apni gaddi samjho

Image
রুইং একটা ছোট্ট তোলছা গ্রাম । আকাশ ভেঙে বরফ বৃষ্টি হবার আশঙ্কা ছিল । তাই গ্লেসিয়ারের ঠিকানা গুটিয়ে একটু তাড়াহুড়ো করেই নেমে এসেছিলাম । মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় দুদ্দাড় করে দৌড়ে এক গাড়ি চলা রাস্তা ঘেঁষা গ্রামে ! অথচ এই একই পথ উঠতে পাক্কা দুদিন লেগেছিল । ভাবা যায় ? প্রাণ নিয়ে পালানো বোধ হয় একেই বলে । অবতরণ নয়, এ তো পতন! পঞ্চায়েত ঘরের ছাদের তলায় আস্তানা জুটেছিল । ভিজে কাঠ অনেকটা ধোঁয়া ছেড়ে আগুনের আঁচ দিচ্ছিল। দুমুঠো চাল আর এক মুঠো ডাল তোবড়ান হাঁড়িটায় বসে গিয়েছিল। মেস টিনে মিষ্টি লাল চা দার্জিলিং মাস্কাটেল কে চোখ মটকাচ্ছিল। বিপদের আভাস পেয়ে বেঁচে ফিরে আসার মধ্যে এক অসাধারণ মৌতাত ছিল। তাতে ডুবে ছিলাম। বৃষ্টি, বরফ, ওয়েট স্নো অ্যাভালাঞ্চ আর ভাবাচ্ছিল না।  বেস ক্যাম্প থেকে পাততাড়ি গুটনোর সকালে তোলছারা ভোটিয়া , ঠিক মার্ছাদের মত । দুজনে জাতভাই বলা চলে । অলকনন্দা এবং ধৌলিগঙ্গা উপত্যকার একেবারে উপর দিকের , অর্থাৎ তিব্বত সীমান্ত ঘেঁষা লোকেরা মার্ছা আর একটু নিচের দিকের লোক হলেই তোলছা । তবে দুজনেই সংসার গুটোয় , ফি বছরে অন্তত দুবার । শীত পড়তে শুরু করলেই তল্পি

একটি অসংলগ্ন স্বগতোক্তি কিংবা মৃত্যু সংলাপ

Image
লেখকের মন্তব্যঃ  লেখাটি মে মাসের তথ্যকেন্দ্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। মাননীয় সম্পাদক মহাশয়ের অনুমতি নিয়েই এবার ব্লগে তুলে দিলাম। ২০১০ এ গঙ্গোত্রি হিমবাহে একটি অভিযান চলার সময় এক বিচিত্র দূর্ঘটনায় পড়ি আমি। হিমবাহের একেবারে শেষ প্রান্তে তখন আমার তাঁবু। প্রাণে বাঁচতে সেই ক্যাম্প থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নীচে নেমে আসা ছাড়া পথ ছিল না। কিন্তু বাদ সাধছিল আমার শ্বাসযন্ত্র। অতি দ্রুত সে ভর্তি হয়ে আসছিল তরলে। প্রাণ বায়ুতে টান পড়ছিল। আমার এবং আমার সহযাত্রীর ধারনা হয়েছিল ব্যাপারটার পোশাকি নাম ‘পালমনারি ইডিমা’। কিন্তু পরে, কলকাতায় চিকিৎসাধীন হবার পর জানা যায় সমস্যাটির আসল স্বরূপ এবং অগ্রজপ্রতিম ডঃ রূপক ভট্টাচার্যের ‘হস্তক্ষেপে’ (আক্ষরিক অর্থেই) সে যাত্রা প্রাণ বাঁচে। জানা যায় ফুসফুসে নিছক জল জমা নয়, আমার হয়েছিল ‘হাইডাটিড সিস্ট’। তবে নিশ্চিন্ত থাকুন, সেই রোগের দুর্ভোগের বিশেষ বিবরণ এখানে আজ আপনাদের শোনাব না। হিমবাহের সেই ক্যাম্প থেকে গঙ্গোত্রীর আপাত নিরাপত্তায় পৌঁছতে আমার লেগেছিল মোট ছ’দিন। এখানে তার কয়েক ঘণ্টার একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।কিছুটা পুরনো কাসুন্দি হলেও মৃত্যুর ঝাঁঝ এখনও কমেন