Posts

Showing posts from 2019

ভোলাকাকুর স্বর্ণযুগ

ভোলাকাকুর স্বর্ণযুগ লেখকের  ব্যক্তব্যঃ এই লেখাটি সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায়  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ এ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদ  প্রতিদিনের লেখাটির সঙ্গে যে ছবিটি 'বাস্তবে গুমনামি বাবার ছবি' বলে ছাপা হয়েছে সেই ছবিটি আদপে যে 'বাস্তব'  নয়, এক শিল্পীর মনগড়া, তাও প্রমাণিত হয়ে গেছে। এই লিঙ্কে গেলেই সেটা বিষদে জানা যাবেঃ  https://scroll.in/article/757089/how-a-computer-generated-image-came-to-be-used-as-proof-that-a-mysterious-sadhu-was-actually-netaji খবরের কাগজের পাতার ডিজাইন এবং কোন ছবি তাঁরা ব্যবহার করবেন, তার ওপর লেখকের কোন নিয়ন্ত্রণ সাধারনত থাকে না। এক্ষেত্রেও ছিল না। যাই হোক, এই লিঙ্কে গেলে কাগজের লেখাটি পড়া যাবেঃ  https://epaper.sangbadpratidin.in/epaper/m/389654/5d8ffdaa0316a    ১ শুরুটা অনেকটা হযবরল-র মত। বেজায় গরম। ধর্মতলা চত্বরে একটা কাজ সারতে গিয়ে হাঁসফাঁশ করছি। এমন সময় ভোলাকাকুর ফোন এল। তিব্বতে যাবার উপদেশ না দিয়ে কাকু সরাসরি বাবায় চলে গেলেন। পৃথিবীতে এক বিশেষ শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা গোটা প্যারাগ্রাফ শেষ না করে থামেন না। খুঁজে দেখবেন, আপনার কাছেপিঠেই এই ধর

পেনসি লা-র সেই রাত

এই লেখাটি গত ১১ই আগস্ট, ২০১৯, সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল 'তারার গ্রাসে মোড়া তুষারতীর্থ' নামে। নীচের লেখাটি পড়ার আগে  কাকাবাবুর সঙ্গে অমরনাথে   পড়ে নিলে এই  গল্পটা বুঝতে একটু সুবিধা হবে।  ১ আমাদের ছোটবেলায় একটা সিনেমা এসেছিল, ‘তুষারতীর্থ অমরনাথ’। সেই থেকে, কেন জানিনা, অমরনাথ নামটা শুনলেই সবকিছুর আগে আমার আজও সেই ছায়াছবির কথাই মনে পড়ে। এমনকি অমরনাথ নামের কোনও ভদ্রলোকের সঙ্গে কোথাও আলাপ হলেই, মনে মনে তার নামের আগে প্রিফিক্স হিসেবে ‘তুষারতীর্থ’ তৎক্ষণাৎ বসিয়ে দেবার একটা বিচ্ছিরি অভ্যেসও আজকাল দেখা দিয়েছে। তবে যেহেতু, এই উপাধী দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ব্যাপারটা সাধারণত ঘটে আমার মনের মধ্যে, তাই প্রত্যেকবারই অপ্রস্তুত হওয়া থেকে আমি এবং সেই ব্যক্তি-দুজনেই বেঁচে যাই। নস্টালজিয়া যে সময় বিশেষে মানুষকে নষ্ট, থুড়ি, ননসেন্সিকাল করে দিতে পারে তার চলমান প্রমাণ আমি নিজেই। অথচ অমরনাথ যাত্রা বলতে আজকাল যেটা বোঝায় সেটা কিন্তু আমার জীবনে একবারই ঘটেছিল, তাও পাক্কা তিরিশ বছর আগে, আমার কাকাবাবুর সঙ্গে। বাংলা সাহিত্য এবং সিনেমায়, তীর্থযাত্রা এবং তার পুণ্যলোভাতুর যাত্রী বলতে ঠিক যে ছ

কাকাবাবুর সঙ্গে অমরনাথে

এই লেখাটি 'প্রতিদিন রোববার' পত্রিকায় ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ তে ছাপা হয়েছিল।  সম্পাদকের অনুমতি নিয়ে আমার ব্লগে দিলাম।  কাকাবাবুর সঙ্গে অমরনাথে  অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় পুণ্যের কথাই যখন উঠল, তখন প্রথমেই বলা দরকার পাপের কথা। পাপ যে বেশ বিষাক্ত বস্তু, তা দেবদ্বিজে ভক্তি রাখা বাঙালি মাত্রেই জানেন।সেই বিষের অ্যান্টিডোট যে পুণ্য, তাও কারও অজানা নেই। আর জানা আছে বলেই সবাই সেটা চায়, কারন পাপের ভাগীদার, তা সে বাপেরই হোক বা নিজের; হতে কেউ চায় না। এদিকে পাপের পাশ কাটিয়ে পালানোর পথ নেই, কারন ঠাকুর যখন-তখন, যাকে-তাকে পাপ দেন। তাই সেই পাপের উল্টোটা, অর্থাৎ কিনা পুণ্যকে আমরা এতটাই চাই যে, আমাদের লোভ হয়।পুন্যলোভাতুর শব্দটি নিজেই সেই ঘটনার রাজসাক্ষী । কিন্তু যেহেতু, বলা আছে, লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যু; তাই পুণ্য লাভ করতে গিয়ে যেই আমরা একটু লোভ করি, ওমনি আবার আমরা সেই পাপের ফাঁদেই পা দিই। ওপর থেকে ঠাকুর হাততালি দিয়ে খিল খিল করে হাসেন। তাঁর বালক স্বভাব যে! পুণ্য অর্জন আমার জন্মসিদ্ধ অধিকার ; কিংবা মনুষ্য জীবনে পুন্যলাভের বিশেষ প্রয়োজন আছে কি নেই এইসব গুরুতর ত্বত্ত্ব বুঝে ওঠার অনেক আগেই