Posts

Showing posts from 2022

Prayers, silent prayers, screaming inside your tiny little head

Image
On 4th October, 2022, I was standing below this, not by accident, but by choice. It certainly was not my first close encounter with an ice-fall. And that is precisely why I was afraid. How many times can one squeeze through an ice-fall and come out unscathed? It is a game of Russian roulette baby! It is only a matter of time before it gets you.  I was belaying Lakpa and he was climbing fast. We were searching for a passage to the higher ground and this seemed to be the only gateway. I was there below this particluar serac probably for 10 mins or may be it was slightly more. But boy it seemed like eternity.  Suddenly it seemed the seracs around us were collapsing in real time. They were crashing around us like little thunders. I could feel the vibration of the rumbling avalanches on the tiny belay stance of mine. Gosh the stance was littered with debris too.  What were we doing there? Our morning's boldness was quickly evaporating. Caught red-handed, we were the trespassers in this

बेवकूफों का आक्रमण

Image
যারা পর্বতারোহণের একটা যুগ দূরের কথা, যোজন দেখেননি তাঁরাই আজকাল কথায় কথায় অমুক ক্লাইম্বটা যুগান্তকারী, তমুকটা ঐতিহাসিক বলে বজ্র নির্ঘোষ আরম্ভ করেছেন।  সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছেন, যেমনটি তাঁরা করেই থাকেন। তাতে কোন সমস্যা ছিল না। কারণ দেখা যায় এই টাইপের নিষ্পাপ নির্বোধদের ঘোষণায় যাঁদের বিশেষ শিহরণ হয় তাঁরা বেশীরভাগই জীবনে এক পিচও ক্লাইম্ব করেননি। এরা সবেতেই হয় উদ্বেলিত উচ্ছ্বাসে হাততালি দেন, নয় ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে দেন। এনারা সব কিছুরই বিশেষজ্ঞ, নিজেদের ফোনের এজলাসে এনারা নিজেরাই সাক্ষী, নিজেরাই বিচারপতি।  কিন্তু আজকাল এরকম ঘোষণায় খবরের কাগজ টিভিও নড়েচড়ে বসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যার তার প্রলাপ থেকে খামচা মেরে খবর  বানিয়ে দেবার ব্যাপারটাও আজকাল নর্মাল ব্যাপার-তা সে সেলিব্রিটি গসিপ কিংবা একটা ক্লাইম্ব - যাই হোক না কেন।  একো সাহেব সঠিক একেবারেই।  তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব যদি ফোনের স্ক্রিনেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে ভাল হত। "কিন্তু সেটি হচ্ছে না। সে হবার যো নেই।"  অতএব নিজের চরকায় তেল এবং ক্র্যাম্পনে ধার দেওয়াটাই বেস্ট পলিসি।   

চ্যাটারটন মারা গেছেন, চ্যাটারটন আবার মারা যাবেন

Image
দি ডেথ অফ চ্যাটারটন, ১৮৫৬, হেনরি ওয়ালিস  সারাদিন ধরে আমার ঘরের দেওয়াল, জানলার পাল্লা,  পায়া-ভাঙা চেয়ার, স্তূপাকৃতি ধুলো-ঢাকা প্রাচীন আসবাব- সব কিছু দেখি আমি।  সত্যি, আমাদের সব কিছু পুরোনো, ধুলোপড়া, ভাঙাচোরা।  তবু একটা ক্লান্ত, মলিন লাবণ্য যেন রয়েছে কোথাও।  ঠাম্মার আদরের মত, লেপ্টে রয়েছে সবকিছুর গায়ে।   একদিন এই ঘরে বাবা-মা থাকত।  এখন এই ঘরে আমি থাকি।  আমি চলে যাবার পর হয়ত অন্য কেউ থাকবে।  তার চোখে এই লাবণ্য দেখা দেবে কী? মলিন হয়েও দেখা দেবে কী?  অবশ্য, না দিলেই বা কী আসে যায়!  চ্যাটারটন মারা গেছেন, চ্যাটারটন আবার মারা যাবেন।  

'বাংলার পর্বতারোহণের ঘোলা জলে মাছ ধরা কী যার তার কর্ম?'

Image
গত ২০ আগস্ট, ২০২২, ড্রিম ওয়ান্ডেরলুস্ট এবং 'কলকাতা প্রকৃতি পরিব্রাজক সমিতি'র সদস্যগণ- যৌথ উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলেন। আলোচনার বিষয় ছিল- 'কোন পথে বাংলার পর্বতারোহণ'।   বিষয় শিরোনামের শেষে জিজ্ঞাসার চিহ্ন, কিংবা বিস্ময় সূচক চিহ্ন- দুটোর কোনটাই না থাকায়  একটা ব্যাপার আঁচ করে নেওয়া যেতে পারে এবং সেটা হল আয়োজকদের মনে পশ্চিমবাংলার পর্বতারোহণের গতিপ্রকৃতি সম্বন্ধে একটা সংশয় থাকলেও ( সংশয় নিশ্চয়ই ছিল, তা না হলে খামোখা এরকম একটা সভা ডাকতে যাবেন কেন? ), তাঁরা সেটা সদর দরজায় লিখে দিতে চাননি। মানে, একটা মাছ ধরার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু নিজেরা জলে নামতে ( কিংবা ছিপ ফেলতে) তাঁরা রাজী ছিলেন না। সে দ্বায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই ছিল নির্বাচিত বক্তাদের ঘাড়ে।  নিজেরা চিহ্নিত মাউন্টেনিয়ার না হয়েও, এরকম একটা দুঃসাহসিক উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের আমি সাধুবাদ জানাই। একটা কথা স্পষ্ট- আয়োজকদের এই কৌতূহল ( মানে, 'কোন পথে যাচ্ছে ব্যাপারটা'? গোল্লায়? না, কেবলই পারস্পরিক তোল্লায়?) প্রসূত হয়েছে তাঁদের হিমালয় এবং পর্বতারোহণের প্রতি আন্তরিক ভালবাসা থেকে। কিন্তু একথা ভুললে চলবে না- বাংলার পর্বতা

The old man and the bridge

Image
I met an old man by the hanging wire bridge in the vale.  We were traveling in the same direction, I could tell.  As I slowed down with a smile, it was just a moment, but there we lived for a while.  Only the hanging wire bridge knows our tale.

ইচ্ছে হলে লিখব, না হলে লিখব না! 😆

Image
'পাবলিশ অর পেরিশ-  Publish or Perish'  ইন্টারনেট বলছে এই কথাটা নাকি ড্যানিয়েল জে বার্নস্টাইন নামের  সাম্প্রতিক সময়ের এক গণিতজ্ঞ বলেছেন।  তবে আমার ধারণা ছিল কথাটা যথেষ্ট প্রাচীন এবং আমি মনে করি, কেবল তথাকথিত অ্যাকাডেমিয়া নয়, অভিযান সাধনাতেও এই কথা প্রযোজ্য। কারণ অভিযানের যাথার্থ শিক্ষায়, ট্রফি শিকারে নয়।  (এক্ষেত্রে 'ট্রফি হান্টিং' কথাটা আমি আক্ষরিক কম এবং রূপকার্থে বেশী ব্যবহার করতে চেয়েছি। কারণ, আফ্রিকার কোন এক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী শিকার এবং মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণ- এই দুটিই আজ একই গোত্রে পড়ে গেছে। )  আপনি ঠিকই পড়েছেন, লেখার শুরুতেই  আমি 'অভিযান' শব্দটির পর 'সাধনা' শব্দটি ব্যবহার করেছি। কারণ আমি মনে করি, প্রকৃত অভিযাত্রীরা এক একজন সাধক।  গায়ক, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানীদের মতই অভিযাত্রীরাও  কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন।  ফ্রাঁসোয়া আরাগো বলেছিলেন- " To get to know, to discover, to publish- this is the destiny of a scientist."  এবং বিশ্বকবির ভাষায় এই খোঁজ-   " আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না" , কারণ- "এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চে

হুইস্কি নিয়ে 'পিট'-পিটানি

Image
পিট (Peat) ব্রিকস বানানোর কাজ চলছে। ছবিঃ findrarewhisky.com এই লেখার নায়ক 'পিট' এবং গল্পের পটভূমিকা 'হুইস্কি'।  যদি 'পিট' সম্পর্কে আগ্রহী থাকেন তাহলে এই লেখার শেষে কয়েকটা লিংক দেওয়া আছে- সেগুলো পড়ে জানা আরম্ভ করতে পারেন। হুইস্কি না হয় নাই খেলেন- জানতে তো আর বাধা নেই। স্বয়ং মার্ক টোয়েন কী বলেছিলেন মনে আছে তো? সেই যে- “Too much of anything is bad, but too much good whiskey is barely enough.”

কে-টুতে কাতুকুতু

Image
কে-টুরও কী শেষে এভারেস্টত্ব প্রাপ্তি হল?  কে-টুও মি টু বলল? k2 says 'me too'*? Blimey!  কে-টু ও বলছে মি টু , ছবি সুত্রঃ ইন্টারনেট  এভারেস্টে ফি-বছর ট্রাফিক জ্যাম দেখে এখন জনগণ অভ্যস্ত, তাই গত কয়েক বছর কেউ সেরকম 'গেল গেল' রব তোলেন নি। সয়ে গেছে। তাই বলে কে-টুতেও কাতুকুতু? এও দেখতে হল?  'Savage Mountain'-এও সেই তারকেশ্বরে বাবার মাথায় জল ঢালার মত লাইন দেখে বিদগ্ধজনেরা সেরকমই বলছেন।  ব্রায়ান হলের পোস্ট সুত্রঃ ফেসবুক  নিমস দাইয়ের একটি পোস্ট শেয়ার করে ব্রায়ান হল ফেসবুকে লিখেছেন, "I am perplexed, and I am unable to process the importance of this ascent. Only time will put it in historical context. From when I was on K2 in 1986 and again in 2000 I can only see it as a different game to what I took part in. Mountaineering has become a goal orientated pursuit where style and ethics have been discarded by using the maximum resources available particularly for the clients, who totally rely on fixed ropes, oxygen and everything prepared and carried by a team of highly or

অনেক কিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ, তবে কফির জন্য বিশেষ করে

Image
মাঝেমাঝে রাতে-র ঘুম ভাঙার আগেই আমি জানলার পাশে এসে দাঁড়াই। মনে হয় একটানা অনেকক্ষণ গভীর হবার পর একসময় ফিকে হতে হয় রাতকেও। তখন তার মধ্যে এক প্রশান্ত নীরবতা কাজ করে। কখনোসখনো, সেই নীরবতার মধ্যে এক অদ্ভুত উচ্চতা খুঁজে পাই আমি। তখন তাকে খুব পরিচিত মনে হয়।  মনে হয়, কেবল পাহাড়ের চুড়াতেই, এই উচ্চতাকে অনুভব করেছি আমি। কিন্তু বেলুড়ের গঙ্গার ধারের এই ভাঙা জানলায়, মাঝেমাঝে সেই উচ্চতা নেমে আসে কী করে? মুগ্ধ বিস্ময়ে আমি হতবাক হয়ে যাই।  আসলে জীবনের প্রতি মুহূর্তে একটা উচ্চতা খুঁজে চলি আমি। একেবারে নাছোড়বান্দার মত। তাই হয়ত একটু বিরক্ত হলেও, সে আমার জানলায় দেখা দিয়ে আবার কোথায় যেন চলে যায় এক অন্যমনস্ক ব্যস্ততায়। এদিকে একটানা কিছুদিন একজায়গায় থাকলেই আমার মন অসম্ভব চঞ্চল হয়ে পড়ে। কারণ আমি জানি এই জীবন আর বেশী দিন নেই। সময় সীমিত, তাই দুচোখ ভরে দেখে নিতে চাই এই পৃথিবী, অজানা পাহাড়-নদী এবং আরও অচেনা তার মানুষকে। বিচক্ষণেরা জানিয়েছেন  এ আমার এক রোগ। সেই বিচক্ষণদের জানাই, কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী  তো সেই কবেই এই ব্যাধির কথা বিস্তারে লিখে গেছেন।  (কবির ডায়াগনোসিসের লিংক এখানে দিয়ে রাখলাম- 'এরিক শিপটনের ব

অরণ্যে রোদন

Image
সবসময় নয়, তবে মাঝেমধ্যে কিছু লেখার একটা তাগিদ আমার মধ্যে কাজ করে বলেই একসময় https://himalaya-raja.blogspot.com/   এই ব্লগ পেজটা খুলেছিলাম। নাম দিয়েছিলাম- 'Soliloquy of a Wandering Pilgrim or In Dialogue with Destiny' ।  স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে এটি একটি বিচিত্র নাম। এই বলছি 'সলিলোকি', আবার পরমুহুর্তে বলছি 'ডায়ালগ'। আসলে আমার মনে হয়েছিল স্বগতোক্তিও একধরণের আলাপচারিতা হতে পারে- হোক না তা নিজের সঙ্গেই। নিজের ব্লগে লিখতে পয়সা লাগে না এবং কাউকে জবাবদিহিও করতে হয় না! তাই জন্যই আমার এই ব্লগ পেজ।  নিজের যা খুশী, যখন খুশী লিখব- এই ভেবেই খুলেছিলাম। আবার যদি কোনদিন ইচ্ছে হয় তখন বন্ধ করে দেব লেখা। কেউ তো মাথার দিব্যি দেয়নি যে লিখতেই হবে।    সেইরকমই একটা ছোট লেখা কয়েকদিন আগে লিখেছিলাম এখানে। নাম দিয়েছিলাম- 'ইন্দ্রবর্মার হাতি' । বাংলার পর্বতারোহণের ভাগ্যাকাশে ঘটে যাওয়া ইদানীংকালের একটা ভেল্কিবাজি ছিল সেই লেখার বিষয়। (প্রসঙ্গান্তরে বলে রাখি বাংলার আট হাজার মিটারি পর্বতারোহণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে এরকম আরও বেশ কিছু ভেল্কিবাজির ঘটনা রয়েছে)  যাইহোক, ইন্দ্রবর্মার সেই হাতি ন

ইন্দ্রবর্মার হাতি

Image
আমরা জানি, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অশ্বত্থামা ছিলেন কৌরবদের পক্ষে। এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন না বলেই গুরু দ্রোণও কৌরবদের পক্ষেই দাঁড়ান।  যথারীতি, যুদ্ধে দ্রোণাচার্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। পাণ্ডবদের মধ্যে ওঠে ত্রাহি ত্রাহি রব। তখন শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবদের বলেন কোনও ভাবে যদি গুরু দ্রোণের কানে অশ্বত্থামার মৃত্যুর 'ভুল' খবর পোঁছানো যায় তাহলে দ্রোণ আর মারদাঙ্গা করবেন না। আর সেই সুযোগে, ধৃষ্টদ্যুম্ন তাঁকে হত্যা করবে।  প্ল্যানমাফিক, ভীম মালবরাজ ইন্দ্রবর্মার অশ্বত্থামা নামক একটি নিরীহ হাতিকে হত্যা করেন এবং সেই হত্যার সাক্ষী রাখা হয় যুধিষ্ঠিরকে। সবাই জানত, আচার্য্য দ্রোণ, আর যাই হোক যুধিষ্ঠিরের কথাকে অবিশ্বাস করবেন না, কারণ তিনি একজন বেঞ্চমার্ক সত্যবাদী ছিলেন কিনা। ব্যস, এরপর একজন নিষ্ঠাবান সাংবাদিকের মত যুধিষ্ঠির দ্রোণকে জানান যে, 'অশ্বত্থামা হতঃ- ইতি গজ'।  কিন্তু সেই সংবাদ পরিবেশনে একটা মোক্ষম চাল ছিল। যুধিষ্ঠির, 'অশ্বত্থামা  হত'- এইটুকু চেঁচিয়ে বলেন এবং 'ইতি গজ' - টুকু বলেন স্বর নামিয়ে, মিনমিন করে। একে বয়স হয়েছে, তার ওপর ধুন্ধুমার ধর্মযুদ্ধ চলছে, তার মধ্যে খোল