![]() |
যারা পর্বতারোহণের একটা যুগ দূরের কথা, যোজন দেখেননি তাঁরাই আজকাল কথায় কথায় অমুক ক্লাইম্বটা যুগান্তকারী, তমুকটা ঐতিহাসিক বলে বজ্র নির্ঘোষ আরম্ভ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছেন, যেমনটি তাঁরা করেই থাকেন। তাতে কোন সমস্যা ছিল না। কারণ দেখা যায় এই টাইপের নিষ্পাপ নির্বোধদের ঘোষণায় যাঁদের বিশেষ শিহরণ হয় তাঁরা বেশীরভাগই জীবনে এক পিচও ক্লাইম্ব করেননি। এরা সবেতেই হয় উদ্বেলিত উচ্ছ্বাসে হাততালি দেন, নয় ঘৃণার বিষ ছড়িয়ে দেন। এনারা সব কিছুরই বিশেষজ্ঞ, নিজেদের ফোনের এজলাসে এনারা নিজেরাই সাক্ষী, নিজেরাই বিচারপতি।
কিন্তু আজকাল এরকম ঘোষণায় খবরের কাগজ টিভিও নড়েচড়ে বসেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যার তার প্রলাপ থেকে খামচা মেরে খবর বানিয়ে দেবার ব্যাপারটাও আজকাল নর্মাল ব্যাপার-তা সে সেলিব্রিটি গসিপ কিংবা একটা ক্লাইম্ব - যাই হোক না কেন।
একো সাহেব সঠিক একেবারেই।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব যদি ফোনের স্ক্রিনেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে ভাল হত। "কিন্তু সেটি হচ্ছে না। সে হবার যো নেই।"
অতএব নিজের চরকায় তেল এবং ক্র্যাম্পনে ধার দেওয়াটাই বেস্ট পলিসি।
1 comment:
খুবই সঠিক, সময়োচিত, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/উপলব্ধি! কিন্তু, সামাজিকভাবে বিরাট হানিকর দিকের দিশারী। ইতিমধ্যেই আমাদের পর্বতারোহণ ক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে, এতো বলাই বাহুল্য। পর্বতারোহণ-ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, বহুক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবেই। ভাবখানা এমন যেন সোশ্যাল মিডিয়াতে উল্লেখ নেই, কাজেই ঘটনা স্বীকারেরও প্রয়োজনীয়তা নেই! যদিও নিতান্তই বালখিল্য, লেখাপড়ায়-লেশহীন ছাপযু্ক্ত, কিন্তু এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই মুশকিল। সমাজের চতুর্থ স্তম্ভের দায়বদ্ধতা ইতিবাচক হলে মুশকিল আসান-এর একটু আলোকিত পথ পাওয়া যেত নিশ্চয়ই। তবুও আশায় থাকবো জনমানসের মানসিক উন্মেষের।
Post a Comment